Tuesday, January 27, 2009

Keokaradong laikhat finally : Shangu & Reejuk

জীবনে কুয়াশার মাঝে নৌকায় চড়েছি দু’বার।
অদ্ভুত অনুভূতি। মনে হয় যেন নিঝের জগতের বাইরে কোথাও চলে এসেছি।

আমরা তিনজন ঠিক করলাম রিজুক ঝরণা না দেখে রুমাবাজার ছাড়বোনা। তাই খুব সকালে কুয়াশার মাঝে আমরা হোটেল ছেড়ে চলে এলাম ঘাটে। সারি সারি নৌকা।

পানি থেকে ধোয়াশা উঠছিল। আর তার মাঝে নৌকাগুলোকে মনে হচ্ছিল সিন্দবাদ সিরিয়াল এর নৌকাগুলো। ধোয়াশার ছবি তুলতে গিয়ে আমি হতাশ। ছবি তে ধোয়াশার কিছুই বোঝা যাচ্ছিলনা।

এতক্ষণে সূর্য উঠে পড়েছে। আর পেখম খুলেছে সাংগু নদী। একটু আগের ধোয়া তোলা পানিতে অপূর্ব সুন্দর প্রতিবিম্ব।

প্রায় ২ঘন্টা পর পৌছুলাম রিজুক এ। ৩০০ ফুট উপর থেকে পড়েছে ঝরণা। পাথরের আকার দেখে অনুমান করলাম বরষায় এই ঝরণার ধারা কিরকম হয়। আর ঠিক করলাম  বরষায়  এখানে একবার আসতেই হবে।
শুরু হয়ে গেল আমাদের photosession. ঝরণার উৎস খুজতে উপরে উঠলাম । ৫/৬টা ধারা এক হয়ে এসে রিজ়ুক হয়ে নেমেছে।

 

 
রিজুক এর উপর থেকে সাংগু নদী।

বান্দরবান ট্যুর এ খুব আমাদের দেখা দুই তিনটা বন্য প্রানীর একটা।

রিজুক থেকে ফেরার পালা। সূর্য পুরোপুরি উঠে সাংগুর এখন অন্য রূপ। আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর নদী।

চলে এলাম রুমাবাজার ঘাটে।

ফারেজ ভাই আর দীপু ভাই। তাদের সাপোর্ট না পেলে আমার রিজুক আর সাংগুর অপরুপ দেখা হত না।

রুমাবাজার আসার পর হুড়োহুড়ি করে চলে এলাম চান্দের গাড়ির স্ট্যান্ড এ। আমরা মাত্র ৩জন। তাই স্থানীয়দের সাথেই চান্দের গাড়িতে যেতে হবে। এটা একটা মজার অভিজ্ঞতা। চারপাশে সবাই কথা বলছে উপজাতীয় ভাষায়। ফরেনারদের কি অবস্থা হয় বুঝতে অসুবিধা হলনা।
আমাদের সাথে দুই উপজাতীয় মহিলা উঠেছিলো ৪০/৫০টা শুকনো লাউয়ার খোল নিয়ে, যেটাতে তারা পানি রাখে। গাড়ীর ঝাকুনিতে একটু পর পর ২টা করে খোল রাস্তায় উড়ে পড়ছিল। সাথে সাথে দুই মহিলা ‘ক্রিং ক্রিং’ করে চিল্লাপাল্লা। আমার ধারণা হলো লাউয়ার খোল এর নাম মনে হয় ‘ক্রিং ক্রিং’।

এক জায়গায় চান্দের গাড়ি থামল। গাড়ি ছাদে বস্তা উঠছে। বাইরে চোখ দিয়ে দেখলাম, এইগুলোর তকারক করছে এক উপজাতীয় মহিলা। বেশ কঠিন কঠিন চেহারা আর লম্বা, শক্তপোক্ত গড়ন। মহাজনী স্টাইলে কোমরে হাত দিয়ে বেশ ভক ভক করে চুরুট খাছে। গাড়ি ছাড়ার আগে আগে একটা মুরগী নিয়ে আমার সামনের সিটে এসে বসলো। আমি জবুথবু মেরে গেলাম। yes i know, who is boss here. মহিলাজ। :P
হাল্কা ঘুম দিলাম। এবং নিজের কাছে প্রমাণ করলাম যে চান্দের গাড়িতে ঘুমানো সম্ভব।

বান্দরবানে গিয়ে ঠিক করলাম ১ঘন্টা আমরা মগবাজারে কাটাব। সেখানে নিশ্চয়ই মগদের বানানো সুন্দর সুন্দর জিনিষ পাওয়া যায়। এমাথা ওমাথা ঘুরার পর বুঝলাম ঢাকার মগবাজারের চেয়ে কোনো অংশে কম না। মগদের কোনো নিশাণা খুজ়ে পেলামনা। শেষ পর্যন্ত বার্মিজ মার্কেটে গিয়ে কয়েকটা মগ কিনে সান্ত্বনা নিলাম :(

খুব ভালো একটা ট্যুর হল। পা ব্যাথাও একদিনে ভালো হয়ে গেলো। ঝামেলা হল ঘুমাতে গিয়ে। যখনই ঘুমাই স্বপ্ন দেখি পাহাড়ে উঠছি.. তারপর নামছি.. আবার আরেকটায় উঠছি…. আবার নামছি….
আরে ভাই ঘুম এর সময় ঘুম।
ঘুম এর সময় কি adventure ভালো লাগে? :-S

1 comment:

  1. excellent documentary!!
    this will inspire others......
    keep up the good work.......

    Sharif

    ReplyDelete